ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লংঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করে। এরই ফলশ্রুতিতে ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ৭টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ৬৪টি জেলা কার্যালয় রয়েছে। অধিদপ্তরের প্রধান মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয়ের নের্তৃত্বে তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মূলত তিন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে: ১. প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অর্থ্যাৎ নিয়মিত বাজার তদারকি করে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ করা; ২. প্রতিকারমূলক কার্যক্রম অর্থ্যাৎ কোন ভোক্তা পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি তদন্ত ও শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা; এবং ৩. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন, ২০০৯ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপনসহ বছরব্যাপী গনশুনানি, মতবিনিময় সভা, সেমিনার ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা।
বাজার তদারকির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি সংস্থা যেমন, পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, মৎস অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন, বিএসটিআই, ক্যাব, চেম্বার অব কমার্স-এর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন-এর সহায়তা নেয়া হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS